ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের নানা দেশে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির উদ্যোগ সফল হয়েছে। প্রাকৃতিক দ্বীপগুলোর মতো এসব দ্বীপেও পর্যটকরা ছুটি কাটাতে যান। তারকাদের কেউ কেউ আবার ইতিমধ্যে এসব দ্বীপে বিলাসবহুল আবাসন বা রিসোর্টের মালিক হয়েছেন। মানবসৃষ্ট এসব দ্বীপ নির্মাণ করতে যে বিচিত্র ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণাও করেছেন ভূগোলবিদরা। আজকের আয়োজনে থাকছে এমন পাঁচটি কৃত্রিম দ্বীপের কথা, সৌন্দর্য আর নির্মাণশৈলীতে যা মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
পাম জুমেইরাহ, দুবাই
বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক কৃত্রিম দ্বীপগুলোর একটি হলো দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ। দুবাইয়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর অন্যতম এই পাম গাছ আকৃতির দ্বীপের নির্মাণ। ২০০১ সালে দ্বীপটির নির্মাণকাজ শুরু হয়, এবং ২০০৬ সালে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেলগুলো এখানেই অবস্থিত।
দ্য ওয়ার্ল্ড আইল্যান্ডস, দুবাই
এই দ্বীপও দুবাইয়ের আরেকটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের অংশ। প্রকল্পের অধীনে ৩০০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন দ্বীপ নির্মাণ করা হচ্ছে, এবং এগুলোকে পৃথিবীর মানচিত্রের অনুরূপে স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি দ্বীপই একটি দেশ বা অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে। কিছু দ্বীপ অনুন্নত রয়ে গেলেও এখানকার বেশিরভাগ দ্বীপকেই ইতিমধ্যে বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং ব্যক্তিগত এস্টেটে পরিণত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : পানির ওপর ৩৩ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড করলেন যুবক!
দ্য পার্ল-কাতার, দোহা
আরব উপসাগরে প্রায় ৪ মিলিয়ন বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই দ্বীপটি দোহার উপকূলে অবস্থিত। দ্বীপটিকে ওপর থেকে দেখে মনে হবে যেন কেউ মুক্তার মালার একটি পাশ ছড়িয়ে রেখেছে। কাতারের ঐতিহাসিক মুক্তা বাণিজ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন থেকেই আসলে দ্বীপটির এমন আকৃতি দেওয়া হয়েছে। পার্ল-কাতার দেশটির অন্যতম প্রধান আবাসিক এবং বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে বিলাসবহুল বাড়ি, শপিং আউটলেট এবং একটি সমুদ্রসৈকত রয়েছে।
হুলহুমালে, মালদ্বীপ
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং দ্রুত সাগরে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে মালদ্বীপের হুলহুমালে দ্বীপটি কৃত্রিমভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরো দ্বীপের চারদিকে ঘিরে আছে সাগরের নীলাভ জলরাশি। ২০০৪ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই মানবসৃষ্ট দ্বীপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জাপান
ওসাকা উপসাগরের একটি কৃত্রিম দ্বীপের পুরোটা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। প্রকৌশল বিদ্যার অন্যতম সুনিপুণ কীর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই বিমানবন্দরটিকে। নব্বইয়ের দশকে নির্মিত কানসাই বিমানবন্দর ভূমিকম্প এবং সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া