ছবি: সংগৃহীত
যৌনতা নিয়ে ফ্যান্টাসি নতুন নয়! নিজেদের একঘেয়ে জীবনকে রঙিন করতে সঙ্গীর সঙ্গে নানা ধরনের যৌনাচার করে থাকেন অনেকে! নানা ধরনে সেক্স করে থাকেন তারা। অনেকে পর্নো ছবি দেখে শেখার চেষ্টা করেন, কোন পদ্ধতিতে যৌন মিলন করলে বেশি আনন্দ পাওয়া যাবে।
কখনও কখনও আবেগঘন মুহূর্তে সঙ্গীকে শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়াটাও একধরনের ‘ফ্যান্টাসি’। বিকৃত এ যৌনতার পোশাকি নাম ‘বিডিএসএম’ বা ‘বন্ডেজ’ যৌনতা। মানে হচ্ছে, পুরুষাঙ্গটা নারীর যোনির ভেতর এমনভাবে প্রবেশ করানো, যাতে নারীর কষ্ট হয়। আর এতেই নাকি অনেক পুরুষের আনন্দ!
স্বামীর এ ‘ফ্যান্টাসির’ নেশায় প্রাণ গেল এক মাঝবয়সি নারীর। ভারতের তামিলনাড়ুর হোসার জেলার এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
নেশা করে যৌনতায়, সঙ্গমে মেতেছিলেন মাঝবয়সি ওই দম্পতি। সাতবছরের পুরনো বিবাহিত জীবনে নতুন ‘অ্যাডভেঞ্চারে’র খোঁজ করছিলেন তারা। সেই অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে পেয়েছিলেন বিছানায়, স্ত্রীর শরীরের মাদকতায়, বিডিএসএমের মধ্যে। শরীরী খেলার মাঝেই স্ত্রীর আবেদনময়ী কণ্ঠে যন্ত্রণাকিষ্ট চিৎকার শুনতে চেয়েছিলেন স্বামী। তাই বেছে নিয়েছিলেন বিকৃত যৌন ফ্যান্টাসি- বিডিএসএম।
গত ৩০শে এপ্রিল দুজনেই আকণ্ঠ মদ্যপানের পর ভরপুর যৌনতার মেতে ওঠেন। স্বাভাবিক ছিল না সেই যৌনাচার। খাটের চারদিকে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে দিয়েছিলেন স্বামী। তারপর চলছিল কাছে আসার খেলা। স্ত্রীর যোনিপথ দিয়ে বারবার পুরুষাঙ্গটা এমনভাবে প্রবেশ করাচ্ছিলেন স্বামী, যেন স্ত্রীর কষ্ট হয়। উদ্দাম মুহূর্তে স্ত্রীকে আরও কষ্ট দেওয়ার জন্য কাপড়ে দিয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন স্বামী।
সেই উন্মাদনাই কাল হলো! সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর নাক দিয়ে রক্তপাত হতে থাকে। তাকে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে ছুটে যান স্বামী। নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকরা। এরপরই মেয়েটির পরিবার থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
হোসারের বাসিন্দা ৩৪ বছরের ভাস্কর আদপে জিম ট্রেনার। তার চারটি জিম আছে। স্ত্রী শশীকলাও নারী জিম চালাতেন। প্রেম করে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তারা। দুই সন্তানও আছে। অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে বিকৃত যৌনতার সময় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ভাস্কর তার স্ত্রীকে খুন করেছেন।
বিয়ের সময় ১৪ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়েছিলেন তিনি। তারপরও টাকার জন্য স্ত্রীকে লাগাতার চাপ দিতেন। শশীকলার সন্দেহ ছিল, একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন ভাস্কর। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিকবার অশান্তিও হয়েছে। ভাস্করের মারধরের চোটে দু’বার হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিল শশীকলাকে।
এবারও স্বামীর অত্যাচারেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ভাস্করের দাবি, বিডিএসএমের সময় গলায় চাপ দিতেই শশীকলার নাক থেকে রক্ত বেরতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন