বুধবার, ২২শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি *** সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা *** ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত উপদেষ্টাদের জেলে যেতে হতে পারে’

স্কুলে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিরোধ পরিহারের আহ্বান ৫১ নাগরিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্যকলার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এক পক্ষের লাগাতার বক্তব্য, বিবৃতি এবং কর্মসূচিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৫১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত এবং এটি নতুন করে বিভেদ তৈরি করতে পারে।

সোমবার (২২শে সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, জুলাইয়ের গণবিস্ফোরণে সব শ্রেণি-পেশা এবং ধর্ম ও মতের মানুষ একসঙ্গে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সফল অভ্যুত্থানের পর নানা ধরনের বিভেদ সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক বাতিলের এই দাবি জাতিকে আরও জটিল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা মনে করেন, শিশুর নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি মেধা ও মননের বিকাশে সংগীত এবং নৃত্যকলার প্রয়োজনও রয়েছে। সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শিশুরা আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যকে নিজের ভেতরে ধারণ করতে সক্ষম হবে এবং বিশ্ব সংস্কৃতির অঙ্গনে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।

তারা বলেন, ইসলামের ইতিহাসে সংগীতচর্চার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম তার সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে, যা মানুষকে এই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। এখানকার শিশুদের অধিকার রয়েছে নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার পরিণতি সুখকর হবে না।

নাগরিকেরা স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারেরা সক্রিয়। নিজেদের মধ্যে বিভাজন থাকলে তাদের ফিরে আসার পথ সুগম হবে।

তাই তারা মনে করেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষকের দাবি মেনে নিয়েও সংগীত শিক্ষক বহাল রাখা ন্যায়সংগত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে স্থাপন করা শিশুদের বিকাশের পরিবেশকে সংকীর্ণ করবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ৫১ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কথাসাহিত্যিক জিয়া হাশান, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, গাজী তানজিয়া, এহসান মাহমুদ প্রমুখ।

নাগরিক বিবৃতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250