ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মতাদর্শিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা বলে মনে করেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, সরকার সেই কাজের দিকে না গিয়ে, অন্যদিকে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে তারপর মান–অভিমান করা, এটা তো কোনো গ্রহণযোগ্য কাজ না।
‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: কেমন বাজেট চাই?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথাগুলো বলেন। আজ শুক্রবার (২৩শে মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এ সরকারের স্থায়ী কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই। সরকার দীর্ঘদিন থাকবে না। তাই তার পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব না। তবে সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছু কিছু পরিবর্তনের গতিমুখ তৈরি করতে পারে।
মানুষ পরিশ্রম করছে, সম্পদ তৈরি হচ্ছে, ফলে টাকাপয়সার অভাব নেই উল্লেখ করে অর্থনীতির এ অধ্যাপক বলেন, সম্পদের ওপর জনগণের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে বৈষম্যহীন দেশ তৈরি হওয়ার পর। সরকারের এটা প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকারের দিকে না গিয়ে বিদেশি কোম্পানি, বিদেশি বিনিয়োগ, স্টারলিংক, এলএনজি আমদানি—এসব দিকে মনোযোগ দেওয়া তো এ সরকারের দায়িত্ব না।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন