সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

১৫ বছর ধরে ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আমিনুল

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৪ অপরাহ্ন, ২০শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আমিনুল ইসলাম। চোখে না দেখলেও আছে প্রবল ইচ্ছাশক্তি। পরিচালনা করছেন নিজের তৈরি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। 

সমাজ ও পরিবারের বোঝা না হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার রত্নীবাড়ি বাজারে মোবাইল ও ইলেক্ট্রিক সামগ্রীর ব্যবসা করছেন তিনি।

সরেজমিনে চাকলাহাট ইউনিয়নের রত্নীবাড়ি বাজারে গিয়ে ‘মা মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার’ নামে আমিনুলের দোকানে দেখা মিলে এমন চিত্র।

বর্তমান সমাজে যেখানে সুস্থ মানুষেরা ভিক্ষাবৃত্তিতে ঝুঁকছে সেখানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও কাজ করে পরিবার চালাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম, বলছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সকালে দোকান খুলতে সাহায্য নেন মানুষের। নিজেই ক্রেতাদের কাছে মোবাইল, ইলেকট্রিকসামগ্রীসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করেন। চোখে না দেখলেও পণ্য হাতে নিয়েই বর্ণনা দিতে পারেন তিনি। টাকা স্পর্শ করেই বুঝতে পারে টাকার পরিমাণ। স্বল্প লাভে বিশ্বাস করে ক্রেতারাও তার দোকান থেকেই বিভিন্ন সামগ্রী কিনে নেন। ছোট করে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে তার দোকানে প্রায় লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি আজান দিলে আদায় করছেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ।

আরও পড়ুন: ৫ টাকায় মহাসড়কের ডিভাইডার পার!

স্থানীয় আমিরুল ও খয়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হালালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন আমিনুল। প্রতিবন্ধী হয়েও কাজ করে এলাকার সকলের কাছে আদর্শ হয়েছেন তিনি। আমরা তার দোকানের ক্রেতা হতে পেরে ধন্য।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আমিনুল ইসলাম মুন্সি বলেন, দোকানে মোবাইলফোন মেরামত করার জন্য একটা ভাতিজাকে রেখেছি। এছাড়া নিজের পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা মেটাতে ইলেকট্রিকের দোকান করেছি। তবে ১৫ বছরের মাথায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ঊর্ধ্বগতি হওয়ার কারণে পরিবার নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। কিছুটা সহায়তা পেলে অনেক উপকারে আসবে।

মাত্র ১০ বছর বয়সে বিদ্যালয়ে খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন আমিনুল। চোখে বালু পড়লে দেখতে শুরু করেন ঘোলা। এর মাঝে ব্যয়বহুল হওয়ায় দারিদ্র পরিবার করাতে পারেনি চিকিৎসা। বর্তমানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার মাঝে বিয়ে করে দুই সন্তানের বাবা হয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আমিনুল ইসলাম।

এসকে/ 

পঞ্চগড় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন