ছবি: সংগৃহীত
ভাষাভেদে শব্দ কিংবা স্থানভেদে উচ্চারণের বদল হলেও রক্তের টান কখনো বদলায় না। তাই জার্মানির ‘ফ্যাটা’ বাংলায় হয়ে যায় ‘বাবা’। ইংরেজ সন্তানের আপ্লুত ‘ফাদার’ ডাক ভারত সন্তানের কাছে হয়ে যায় ‘পিতাজি’।
বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের বিষয়টি চিরন্তন। তবে যুগের পরিবর্তনে প্রকাশভঙ্গিতে এসেছে পরিবর্তন। মা দিবসের মতো এখন পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিন বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শতকের প্রথম দশক থেকেই শুরু হয় বাবা দিবসের প্রচলন।
দিবসটি আমাদের দেশে নতুন হলেও এখন অপরিচিত নয়। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে বাবা দিবস পালন করা হয়। সে হিসাবে এ বছর বাবা দিবস আজ ১৫ই জুন।
প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববারে সব মিলিয়ে প্রায় ১১১টি দেশে দিনটি নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ অন্য বেশ কয়েকটি দেশে সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস উদযাপন করা হয়।
সব সন্তানের কাছে নির্ভরতার অন্যতম প্রতীক হচ্ছেন বাবা। সন্তানের কাছে শ্রদ্ধার এক গভীর অনুভূতির শব্দ এটি। নিখাদ ভালোবাসার সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘বাবা’ শব্দটি। বাবা শব্দের মাঝেই জড়িয়ে আছে ভালোবাসা, মায়া, নির্ভরতা। সব বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে, কিংবা বাবার সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় দিবসটি।
বাবা দিবস ঘোষণার বিষয়টি প্রথম ১৯১০ সালে আমেরিকার সনোরা স্মার্ট ডোড নামের এক তরুণীর মাথায় আসে। ১৯১৩ সালে আমেরিকার পিতৃ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন।
সনোরা স্মার্ট ডোডই প্রথম ‘বাবা দিবস’–এর ধারণা সবার সামনে তুলে ধরেন। তার ধারণামতে, মা দিবসের মতো বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে বাবা দিবসেরও প্রয়োজন রয়েছে। এটি ছিল ১৯১০ সালের কথা। তবে তখনো দিবসটি সরকারিভাবে উদযাপন শুরু হয়নি। পরে ১৯৭০ সালের দিকে আমেরিকার কংগ্রেস দিনটি পালনে পুরোপুরি সম্মতি দেয়।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন