ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে দিনভর রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এতে শাহবাগ মোড় ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন নগরবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (২২শে মে) সকাল ৯টা থেকেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ১০টার দিকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে আরেক দল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে বসে পড়েন।
প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে এ কর্মসূচি। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ‘আর চাই না এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’—এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো শাহবাগ এলাকা।
একদিকে ঝুমবৃষ্টি, অন্যদিকে ছাত্রদলের এ কর্মসূচির কারণে আশপাশের সড়কগুলোয় দেখা দেয় তীব্র যানজট।
শাহবাগ মোড়ে আটকে থাকা চাকরিজীবী এখলাস আহমেদ বলেন, ‘৭–৮ মাস ধরে শাহবাগ দিয়ে কোনোদিন ঠিক সময়ে যেতে পারিনি। আজও তিন ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। এত দাবি আর আন্দোলনের মাঝে আমরা সাধারণ মানুষ যেন আর মানুষই নই। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।’
সড়ক অবরোধের বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডে যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তারা প্রকৃত আসামি নয়। প্রকৃত খুনিরা এখনো ধরা পড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর এ হত্যার দায় এড়াতে পারেন না। আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগ ও তার আশেপাশে এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবে ছাত্রদল ও পুলিশ—দুই পক্ষের কেউ কাউকে কিছু বলছিল না। মাঝে মাঝে কোনো অ্যাম্বুলেন্স এলে নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে সেগুলোকে পার করে দেন। তবে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারেননি।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন