ছবি : সংগৃহীত
আপনি চাইলেই একটি দেশ ভাড়া নিয়ে সেদেশের মালিক হয়ে যেতে পারবেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই। সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার মাঝখানে অবস্থিত ইউরোপের ছোট্ট দেশ লিচেনস্টাইন। এটি একটি আধা-সাংবিধানিক রাজতন্ত্র, যার নেতৃত্বে বর্তমানে রয়েছেন যুবরাজ দ্বিতীয় হান্স-অ্যাডাম।
এটি ইউরোপের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশ। মাত্র ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের দেশটির জনসংখ্যা ৪০ হাজারের থেকে সামান্য বেশি। লিখটেনস্টাইন এমন একটি দেশ, যার কোনো ঋণ নেই।
এই দেশটি ২০১১ পর্যন্ত রাত্রিযাপনের জন্য ভাড়ায় পাওয়া যেত। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিষয়টি সত্যি। কিন্তু পরে সেই নিয়ম বদলে যায়। তবে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেই দেশ মোটা টাকায় ভাড়া করতে পারতেন যে কেউ।
মাত্র এক রাতের জন্য পুরো লিচেনস্টাইন ভাড়া করার খরচ ছিল বিপুল। ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫ লাখের বেশি টাকা খরচ করতে হতো। এই অকল্পনীয় অভিজ্ঞতাকে সম্ভব করার জন্য লিচেনস্টাইনকে জনপ্রিয় ‘হোমস্টে’ বুকিং সংস্থা এয়ারবিএনবি-তে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। একটি বিপণন এবং প্রযোজনা সংস্থার সহযোগিতায় পুরো দেশটি ভাড়া দেওয়া হতো।
তবে লিচেনস্টাইন ভাড়া করা সাধারণ ব্যাপার ছিল না। যখন কেউ দেশটি ভাড়া করতেন, তখন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথির জন্য এলাহি আয়োজন করা হতো। সারাদেশ জুড়ে উৎসব শুরু হতো। অতিথির রাস্তা চিনতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই রাস্তার ধারে বড় বড় পোস্টার লাগানো হতো।
আরো পড়ুন : চুরি করতে এসে কিছু না পেয়ে বাড়ির বউকে চুমু দিয়ে পালালো চোর!
ঐতিহাসিক দুর্গ-সহ অতিথিদের সে দেশের এমন সব জায়গায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হতো, যেখানে সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হতো না। কেউ দেশটি ভাড়া করলে লিচেনস্টাইনের রাজা ব্যক্তিগতভাবে তার হাতে দেশের চাবি হস্তান্তর করতেন।
রাজার পক্ষ থেকেও অতিথিদের জন্য থাকত বিশেষ ব্যবস্থা। ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আল্পস পর্বতের উপর আতশবাজি প্রদর্শনের আয়োজন করা হতো। রাজা নিজেও অতিথি আপ্যায়নের জন্য ওই সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন।
বিখ্যাত র্যাপ গায়ক স্নুপ ডগ একবার একটি মিউজিক ভিডিওর জন্য ক্ষুদ্র সেই দেশ ভাড়া নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেরি করে বুকিং করার জন্য তার আবেদন খারিজ করা হয়। অনন্য সুযোগটি স্বপ্নের মতো মনে হলেও ২০১১ সালের পর থেকে লিচেনস্টাইন দেশটি ভাড়া দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮
এস/ আই.কে.জে/