বিল্লাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
গত শুক্রবার (১১ই জুলাই) জুমার নামাজে খুতবার সময় চাঁদপুর পৌরসভার প্রফেসরপাড়ায় মসজিদে ইমামকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার বিল্লাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১২ই জুলাই) তাকে চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত বিল্লাল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শহীদুল্লাহ বলেন, শনিবার বেলা ৩টায় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
আহত ইমামের নাম মাওলানা আ ন ম নূরুর রহমান মাদানী। তিনি শহরের গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। আর হামলাকারী বিল্লাল হোসেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা। শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজে পৌরসভার প্রফেসরপাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের ইমামের খুতবাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হন বিল্লাল। নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই চাপাতি দিয়ে ইমামের ওপর হামলা করেন তিনি। এতে ইমামের মাথা ও কানে গুরুতর জখম হয়। ঘটনার পর মুসল্লিরা হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আহত ইমামকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আহত ইমামের ছেলে আফনান তাকি থানায় একটি মামলা করেন। চাঁদপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেনকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আহত মাওলানা আ ন ম নূরুর রহমান মাদানী ঢাকার হলিকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার ছেলে আফনান জানান, হামলার পর তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।
এদিকে ইমামের ওপর হামলায় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুর রকিব।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন