ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি (রাজধানীর ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪ নম্বর প্লট) সংরক্ষণ করার উদ্যেগ না নিয়ে তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। তিনি আশা করেন, রাষ্ট্র বাড়িটি সংরক্ষণ করে দেশের সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কবির পরিবারের নিরাপত্তা প্রদানসহ কবির স্মৃতি সংরক্ষণ ও ধারণের জন্য বাড়িটির অংশবিশেষ স্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন সুলতানা কামাল।
চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির অংশবিশেষ ভেঙে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ই এপ্রিল) জাতীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী শক্তির ইন্ধনে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এমএসএফ দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার, মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুততার সঙ্গে আইনানুগ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির ছাদের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে গত বুধবার (১৬ই এপ্রিল)। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পাশের বাড়িটি ভাঙার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি।
এবারের পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়বসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরির অভিযোগে ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষকে ফেসবুকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার (১৫ই এপ্রিল) মানবেন্দ্র মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর ঘোষের বাজার এলাকায় তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন