শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা *** সরকারি জমিতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট-মার্কেট, উচ্ছেদের দাবি স্থানীয়দের

হজ প্যাকেজ ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, ২৮শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের হজ প্যাকেজের খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকা নির্ধারণ করতে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী।  

মঙ্গলবার (২৮শে নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশটি পাঠান।

পরে আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হজের মোট খরচ চার লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে সরকার সাধারণ হজ প্যাকেজ পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আর বিশেষ প্যাকেজ নয় লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা বাধা সৃষ্টির নামান্তর।

নোটিশপ্রাপ্তির পাঁচ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে জানান আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান।

নোটিশে বলা হয়, গত ২ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে হজ প্যাকেজ (হিজরি-১৪৪৫/ খ্রিস্টাব্দ ২০২৪/০) গেজেট আকারে জারি করা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ (হিজরি-১৪৪৫) এর হজযাত্রী প্রতি খরচ অত্যন্ত অযৌক্তিক এবং যা মানুষের নাগালের বাইরে।

এতে বলা হয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অনেক বেশি। এতে বোঝা যায় যে, সরকার হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বাড়ির মালিকদের অনুকূলে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করেছে।

গেজেটে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। যা অত্যন্ত অতিরিক্ত। এটা হজযাত্রীদের জন্য প্রতারণা। আর জমজমের পানির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা খুবই আপত্তিকর। এই বরকতময় পানি বিক্রি করে কোনো সরকার আর্থিক সুবিধা নিতে পারে না।

সৌদির মিনা-আরাফাহ-মুজদালিফা এবং আবার 'ডি' ক্যাটাগরির অধীনে মিনায় পাঁচ দিন থাকার জন্য সার্ভিস চার্জ বাংলাদেশি টাকায় ৬২ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা অতিরিক্ত। হজযাত্রীদের ওপর এ ধরনের অর্থ আরোপ প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ বা সৌদি সরকার মহান আল্লাহর মেহমানদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জনে খুবই আগ্রহী।

তাছাড়া এ বছরের হজ প্যাকেজে বাংলাদেশি টাকায় নয় হাজার টাকা ভিসা ফি, ইলেক্ট্রনিক সার্ভিস, গ্রাউন্ড সার্ভিস ফি, ক্যাম্প ফি হিসেবে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সৌদি আরব সরকার এই ভিসা ফি আরোপ করতে পারে না। কারণ সমস্ত হজযাত্রী সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য পবিত্র মক্কা ও মদিনায় যাচ্ছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, গেজেটে বিমান ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে বর্তমান প্লেন ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় ৭৬ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। প্রতি বছর সরকার হজযাত্রীদের বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদি এয়ারলাইন্স থেকে বিমানের টিকিট কিনতে বাধ্য করে যাতে ওই এয়ারলাইন কোম্পানিগুলোকে অবৈধ সুবিধা দেয়, যাতে হজযাত্রীদের স্বাধীনতা এবং পছন্দের ক্ষতি হয়। এছাড়াও প্রতি হজ গাইডের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অপ্রাসঙ্গিক। সরকার হজযাত্রীদের এই টাকা অযৌক্তিকভাবে পরিশোধ করতে বাধ্য করে।

এতে আরো বলা হয়, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন খরচ, স্বাস্থ্যবিমা সার্ভিস চার্জ এবং জমজমের পানিতে ন্যূনতম ১৫% ভ্যাট আরোপ করা বেআইনি ও অনৈতিক। উভয় সরকারই হজযাত্রীদের ওপর এই ধরনের ভ্যাট আরোপ করতে পারে না। কারণ হজযাত্রীরা ভ্রমণকারী নয়, তারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর মেহমান।

আরো পড়ুন: ৩৩ বার হজ করেছেন আবুল ফায়েজ!

নোটিশে বলা হয়, আমরা হজযাত্রীদের সাধারণ এবং বিশেষ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা স্পষ্ট যে, এই হজ প্যাকেজ প্রকৃত তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়নি এবং হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য তৈরি করা হয়নি বরং এটি মুনাফা অর্জনের নগ্ন স্বার্থে হজযাত্রীদের শোষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই প্যাকেজের এসব কর্মকাণ্ড থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার ইসলামি চেতনা ও নৈতিকতা বজায় না রেখে হজযাত্রীদের উসকানি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছে।

নোটিশপ্রাপ্তির পাঁচ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এসকে/ 


লিগ্যাল নোটিশ হজ প্যাকেজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন