ছবি: সংগৃহীত
আর্জেন্টাইন তারকা অধিনায়ক লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে যা যা জেতা সম্ভব প্রায় সবকিছু জিতেছেন। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী লিওনেল মেসি। এর আগেই তিনি আমেরিকান ফুটবলে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন। আর চলতি বছরের জুন মাস শেষ হতেই পিএসজি অধ্যায়ের ইতি ঘটে গেছে লিওনেল মেসির। মায়ামির হয়ে ইতোমধ্যে চারটি ম্যাচও খেলেছেন মেসি।
ক্লাবটির হয়ে মাঠে নামা শুরু করেন জুলাইয়ে। আর জুলাইয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে মেসিকে ৯২ লাখ বার ‘মেনশন’ (উল্লেখ) করা হয়েছে। অন্য ফুটবলারদের চেয়ে সংখ্যাটা অনেক বেশি। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে যেমন ‘মেনশন’ করা হয়েছে ৪৮ লাখবার। আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১৮ লাখবার। এ দুজনই মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।
যে খেলোয়াড় ইউরোপে বছরের পর বছর রাজত্ব করে তুলনামূলক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগে যোগ দিয়েছেন তাঁকে নিয়ে এত আলোচনার কারণ মেসি বলেই। ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রথম ৪ ম্যাচে ৭ গোল করে মেসি সেই আলোচনাকে রীতিমতো ঝড়ে রূপান্তর করেছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে কেন বৈশ্বিকভাবেও এর প্রভাব পড়েছে এবং সেটা বোঝা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আর্জেন্টিনার ডিজিটাল কমিউনিকেশন কনসালট্যান্সি ফার্ম ‘হাউসকম’ হিসাবটা করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এর যে প্রভাব পড়েছে, তা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
মায়ামির হয়ে শুক্রবার মাঠে নামবেন মেসি। লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সেদিন শার্লট এফসির মুখোমুখি হবে মায়ামি। শার্লটের ইতালিয়ান কোচ ক্রিস্টিয়ান লাত্তানজিও কথা বলেছেন মেসিকে নিয়ে, ‘মেসি এমএলএসের জন্য দারুণ প্রেরণা। কিন্তু আমরা শুধু তার বিপক্ষে খেলব না। আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলব, যারা মেসিকে পেয়ে আরও ভালো হয়েছে।’