শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা *** সরকারি জমিতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট-মার্কেট, উচ্ছেদের দাবি স্থানীয়দের

নীরব এক মহামারী পর্নোগ্রাফি, মুক্তির উপায় কী?

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০২:২৮ অপরাহ্ন, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম

বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় একটি  বিষয় হলো পর্নোগ্রাফি বা নীল ছবি। এই পর্নোগ্রাফি নীরব এক মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। কেবল উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরীরাই নয়, অনেক বিবাহিত নারী-পুরুষরাও এই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। এটি এক সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে। তরুণ প্রজন্ম ধ্বংস হচ্ছে। আর বৈবাহিক জীবনেও সৃষ্টি হচ্ছে অনেক অশান্তি।

এই পর্নো আসক্তি কখনো যৌন বিকৃতির অংশ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন মানসিক রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। 

কেন আসক্ত হচ্ছে পর্নোতে? পর্নোগ্রাফি এখন খুবই সহজলভ্য একটি বিষয়। এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ইন্টারনেটের বদৌলতে খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছে পর্নো ছবি এবং ভিডিও। আরেকটি প্রধান কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। ধর্মীয় শিক্ষা না থাকার কারণে বুঝতে পারছে না কোনটা বৈধ কোনটা হারাম। এছাড়াও রয়েছে সঙ্গদোষের প্রভাব। অনলাইনে পাওয়া সস্তা চটিগল্প পড়ে, ছবি ও ভিডিও দেখে আস্তে আস্তে আসক্ত হয়ে পড়ে হস্তমৈথুনের মতো ভয়ংকর পাপকর্মে। পর্নোগ্রাফি আর হস্তমৈথুন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

আমরা দেখতে পাই চটিগল্প ও পর্নোগ্রাফিতে ওরাল সেক্স, অ্যানাল সেক্স ও বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষের সাথে মেলামেশার বিবরণ। এসব পড়া ও দেখার পর কিশোর ও তরুণরা অকল্পনীয় সেক্স ফ্যান্টাসিতে ভোগে। যেগুলো বাস্তবতার সাথে মানানসই না। তাছাড়া এসব পর্ন আসক্তরা তাদের স্ত্রীদের সাথেও অযৌক্তিক যৌন আচরণ করে। ভাবে তার স্ত্রীও বুঝি পর্নের অভিনেত্রীর মতো ‘কামুক’। ফলে বাস্তব জীবনে তৈরি হয় দাম্পত্য অশান্তি।

কিশোর-তরুণরা এসব দেখে সাময়িক উত্তেজনা কমাতে হস্তমৈথুনের মতো ভয়ঙ্কর ও জঘন্যতম কাজে লিপ্ত হয়। যা তাদের মাঝে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ এনে দেয়। লেখাপড়ায় মন বসে না। কাজ করতে ভালো লাগে না। যা পরবর্তী জীবনযুদ্ধের জন্য তাকে তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

পর্নোগ্রাফির কবল থেকে বেরিয়ে আসার সহজ পথ হলো- ছেলেদের পুরুষ শিক্ষক ও মেয়েদের নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি, হস্তমৈথুনসহ যৌন বিষয় সমন্ধে আলোচনা করে কৈশোর বয়সেই এসবের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করা।

পর্ন দেখার প্রবণতা আপনার স্মৃতিশক্তির ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে অনেক কিছুই আপনি খুব সহজেই ভুলে যেতে শুরু করেন। নিয়মিত পর্ন দেখার কারণে একটা নির্ভরশীলতা তৈরি করে। এটা উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এটা আপনার মধ্যে এমন একটা বদঅভ্যাস তৈরি করবে, যার ফলে শরীর ও মনকে বশে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। 

তাই তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান, আসুন এই পাপ ও অনৈতিক পথ থেকে আমরা বেরিয়ে আসি।

পর্নোগ্রাফি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন