সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি *** ইরানে আমেরিকার হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ *** ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: আমেরিকা *** ইরানে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ *** হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস ইরানের পার্লামেন্টে *** সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে পুলিশে সোপর্দ *** অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর *** ইরানে আমেরিকার হামলা কয়েকমাসের ‘গোপন প্রস্তুতির’ ফল: প্রতিরক্ষামন্ত্রী *** আমেরিকার হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান *** রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্ত

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সামাজিক জাগরণের বিকল্প নেই

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৭ অপরাহ্ন, ৩১শে জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

প্লাস্টিকের অতিমাত্রায় ব্যবহার পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। প্লাস্টিকের বোতলে রাখা পানিতেও প্লাস্টিকজনিত ক্ষতিকর উপাদান মিশে যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বড় হুমকি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পলিথিন উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ হলেও প্লাস্টিকজাত পণ্যের ব্যবহার হ্রাস করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি কাঠামো নেই। 

শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার এফডিসিতে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. এ. আতিক রহমান এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক পণ্যের ওয়ান টাইম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা জরুরী। বিশেষত সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি নিষিদ্ধ করা হলে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য সেক্টরে নিষেধ করা সহজতর হবে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সামাজিক ন্যায়বোধ, জীবন পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং শিক্ষা কারিকুলামে বিষয়টি অন্তভুর্ক্তকরণ জরুরী।

রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মেনিফেস্টোতে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্ভব হবে। বোতলজাত ও কোমল পানীয় উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশের অংশ বিশেষ জনস্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। 

ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

কিরণ বলেন, পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার প্লাস্টিক বর্জ্যের হুমকিতে বিপর্যয়ের মূখে পতিত হতে যাচ্ছে। সমুদ্র সৈকত দেখতে এসে যদি আমরা সমুদ্রকে ডাস্টবিনে পরিণত করি তাহলে বৃহৎ এ সমুদ্র সৈকতটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে উঠতে পারে।

সারা দেশে প্রতিদিন ৩ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহার হয়। বাংলাদেশের পরিবেশ আইনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং মাল্টিলেয়ার প্লাস্টিকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও এর উৎপাদন, বিপণন নিষিদ্ধ করা হয়নি। 

কিরণ আরও বলেন, অন্যদিকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বিবেচনা করে ২০০২ সালে পলিথিনের ব্যাগ উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন এবং পরিবহন নিষিদ্ধ করা হলেও এর ব্যবহার বন্ধের অগ্রগতি খুবই কম। শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। পলিথিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি যেমন চোখ জ্বালা করা, শ্বাসকষ্ট, লিভারের কার্যকারিতা হ্রাস, মাথাব্যাথা এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।

তিনি একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে আরো বলেন, বাংলাদেশে ১৮ প্রজতির মাছের মধ্যে ৪৩ শতাংশ মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। সাভার ও আশুলিয়ার দুটি স্থানের বাজার থেকে এই মাছ সংগ্রহ করে এই গবেষণা করা হয়। কালিবাউশ, ট্যাংরা, পাবদা, পুঁটি, শিং, টাটকিনি, বাইনসহ ৪৮টি মাছের পেটে এসব মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে। গবেষণার জন্য যেসব বাজার থেকে এসব মাছ কেনা হয়েছে সেগুলি সাধারণত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ কিংবা আশেপাশের খাল থেকে ধরা হয়। এসব মাছ মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

আরো পড়ুন: বর্ষায় ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কৌশল

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের জন্য ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ নিম্নোক্ত ১০ দফা সুপারিশ করেন।

“ব্যক্তি সচেতনতাই পারে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে” শীর্ষক ছায়া সংসদে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, আইনজীবী বিথিকা হাসান, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান রাহী, সাংবাদিক আখলাকুস সাফা প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এসি/ আইকেজে 

‘প্লাস্টিক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন