সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি *** ইরানে আমেরিকার হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ *** ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: আমেরিকা *** ইরানে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ *** হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস ইরানের পার্লামেন্টে *** সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে পুলিশে সোপর্দ *** অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর *** ইরানে আমেরিকার হামলা কয়েকমাসের ‘গোপন প্রস্তুতির’ ফল: প্রতিরক্ষামন্ত্রী *** আমেরিকার হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান *** রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্ত

সাফা–মারওয়া পাহাড়ে সাতটি দৌড়

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০২ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

হজের সময় সাফা আর মারওয়া দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথের কিছুটা স্থান দৌড়াতে হয় এবং বাকি পথ হাঁটতে হয়। পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে এবং পাহাড় দুটির বেশির ভাগই মেঝের নিচে অদৃশ্য হয়ে গেছে। শুধু চূড়ার কিছু অংশ দেখা যায়। দুই পাহাড়ের মাঝামাঝি জায়গাটা সমান।

বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকদের জন্য হুইল চেয়ারের আলাদা লেন আছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার সংগ্রহ করা যায়। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীর আত্মীয়স্বজনও হুইল চেয়ার ঠেলতে পারেন। লোক ভাড়া পাওয়া যায়, যারা পয়সার বিনিময়ে হুইল চেয়ারে তাওয়াফ ও সায়ী করিয়ে দেয়। তাওয়াফের জন্যও হুইল চেয়ারের আলাদা লেন আছে।

                                                                   

অনেক হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী হাজার হাজার লোকের ভিড় ঠেলে তাওয়াফ ও সায়ী করে থাকেন, দ্বিতীয়, তৃতীয় তলাতেও সায়ীর ব্যবস্থা আছে। সেখানেও সায়ীর পথটুকু সমতল হওয়ায় সায়ী করা সহজ।

হজরত হাজেরা (আ.) এবং শিশু পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কাবার পাশে বড় একটি গাছের ছায়ায় রেখে গিয়েছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)। তখন কাবা শরিফের স্থানটি ছিল উঁচু একটি টিলার মতো। তাঁদের দিয়ে যান কিছু খেজুর আর এক মশক পানি। পানি ফুরিয়ে গেলে হজরত হাজেরা (আ.) পানির জন্য কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। সাতবার ছোটাছুটির পর একটি আওয়াজ শুনে তিনি কাবার পাশে এসে দেখেন, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে পানি। তিনি পানির উৎসে চারদিকে বালির বাঁধ দেন। পরে খনন করে এই কূপকে আরও প্রশস্ত করেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)। এইটাই জমজম সাফা মারওয়ায় দৌড়ানোর কাহিনি।

আরো পড়ুন: অতি মূল্যবান ও পবিত্র হাজরে আসওয়াদ

দুই পাহাড়ের মধ্যে একটি জায়গায় এলে কিছুটা স্থান দৌড়াতে হয় এবং বাকি পথ হাঁটার রেওয়াজ। বিবি হাজেরা (আ.) পানির জন্য যে জায়গাগুলোতে ছুটোছুটি করেছিলেন এখন সেখানে ওমরাহ বা হজে হজযাত্রীরা দৌড়ান। এই পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

সাফা পাহাড় মারওয়া পাহাড়

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন