মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বসতঘরে হামলার নিন্দা, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি *** থাই রাজার সন্ন্যাসী পুত্রের আবেগঘন বার্তা কীসের ইঙ্গিত *** ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানো কোচকে নিয়োগ দিল বসুন্ধরা *** বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টাকে সৌদি আরবের আমন্ত্রণ *** বাংলাদেশসহ ৯৮ দেশে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, সক্রিয় করবেন যেভাবে *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ৩রা আগস্ট খুলছে মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস *** মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এলো বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট

বিমা ছাড়া কোনো গাড়ি চালালে গুনতে হবে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৩ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মোটরসাইকেল, যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল গাড়ি, ট্রাকসহ কোনো ধরনের যানবাহনই বিমা ছাড়া আর সড়কে চলাচল করতে পারবে না। বিমা ছাড়া চললে জরিমানা গুনতে হবে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। মামলাও করতে পারবে পুলিশ। এমন সব ধারা যুক্ত করে আইন সংশোধনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত সোমবার চিঠি পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। আমি বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলব। এরপর বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ সূত্রগুলো জানায়, আইন সংশোধন হতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।

সড়কে যান চলাচলে আগেও বিমা করা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে ২০১৮ সালে আইন করে তা তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় বিমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমা ছাড়া যাতে কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ওই দিন বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে দেখব যে যথাযথ বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন যেন না চলে। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকেই আইন সংশোধনের ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সূত্রগুলো জানায়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ ব্যাপারে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠালে প্রধানমন্ত্রী তাতে হুবহু অনুমোদন করেন বলে সূত্রগুলো জানায়। সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ধারা সংশোধনের যুক্তি হিসেবে বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশই বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করে না।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন ধরনের মোট যানবাহন ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১৮টি। এ হিসাব ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছে, বিমা করা বাধ্যতামূলক না থাকায় এগুলো থেকে প্রতিবছর কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ ৮৪৯ কোটি টাকা ও স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ২৮ কোটি টাকা অর্থাৎ ৮৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ৬০ ধারার অধীনে যাত্রী বা মোটরযানের বিমা নিয়ে চারটি উপধারা আছে। একটি উপধারায় বলা আছে, কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তাঁর মালিকানাধীন যেকোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত, তাঁদের জীবন ও সম্পদের বিমা করতে পারবে।

আরেক উপধারায় বলা আছে, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তাঁর অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বিমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বিমার আওতাভুক্ত থাকবে এবং বিমাকারীর মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন।

আরেক উপধারায় বলা আছে, মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হলে ওই মোটরযানের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না। আবার বলা হয়েছে বিমার শর্ত, বিমার দায়দায়িত্বের সীমা, বিমার দেউলিয়াত্ব, বিমা-দাবি পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বিমা সনদের কার্যকারিতা ও তা হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

আরো পড়ুন: জুলাইয়ে শুরু হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ  

এসি/ আই.কে.জে/


 

বিমা গাড়ি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন