ছবি: সংগৃহীত
একটা বই কেনা হবে। তাতে বর্ণ থাকবে, স্বপ্ন থাকবে। আরো থাকবে ভালোবাসা। কোনো কোনো সোনামণির জন্য বইয়ে থাকতে হবে বাঘ মামা, শেয়াল মামার ছবি। সেসব মিলে রঙিন হয়ে থাকা পৃষ্ঠাগুলো উল্টাতেই সৃজনশীলতায় আকৃষ্ট হবে প্রতিটি শিশু। তাই শিশুপ্রহরের দ্বার খুলতেই তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫।
শনিবার (২২শে ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বইমেলার দ্বার খুলতেই ভিড় করতে থাকে শিশুরা। অভিভাবকের হাত ধরে নতুন বইয়ের জন্য তাদের যেন অধীর অপেক্ষা! অভিভাবকের হাত ধরে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে তারা বই পছন্দ করে।
হ্যাঁ, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার মানে অমর একুশে বইমেলায় শিশুদের দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক অভিভাবকও নিজের ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে বইমেলায় চলে আসেন ভালোবাসার বর্ণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে।
শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমলমতিদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে শিশুচত্বর। প্রতি বছরের মতো এবারও শিশুপ্রহরে মেলায় আসা শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজনে সেজেছে শিশুচত্বর।
সকাল থেকে কিডস জোনে শিশুদের জন্য বিনোদনের আয়োজন করা হয়। নতুন বইয়ের গন্ধ, ছড়ার ছন্দ আর গল্পের হাতছানিতে মেতে ওঠে শিশুরা।
অভিভাবকরা বলছেন, প্রযুক্তির যুগে শিশুদের বইমুখী করতে এমন আয়োজন এক উজ্জ্বল বিকল্প।
একুশে বইমেলার ২২তম দিনে দুপুর পর্যন্ত শিশুকিশোরদের জন্য প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২টি। আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি বসবে মেলার এবারের আসরের শেষ শিশুপ্রহর।
হা.শা./কেবি
খবরটি শেয়ার করুন