ছবি: সংগৃহীত
মারা গেছেন ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর নিজেই দগ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে নিজের দায়িত্ব থেকে একচুল না সরা এই শিক্ষিকা এখন দেশের মানুষের চোখে সাহসিকতার প্রতীক। মাইলস্টোনের শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীকে নিয়ে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
আসিফ আকবর তার ফেসবকু পোস্টে লিখেছেন, ‘দৌড়াও, ভয় পেয়ো না, আমি আছি। প্রয়াত শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী নিজের দুই সন্তানের মায়া—নিজের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও অমোঘ মায়া। হেরে গেলেন মা মাহরীন, জিতে গেলেন শিক্ষিকা মাহরীন ম্যাডাম। জিতিয়ে গেলেন শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে।’
আসিফ লিখেছেন, ‘অনিয়মের দেশে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির চেয়ে আরও ভয়াবহ অনেক কিছুই চলে আসবে সামনে, আমাদের নিয়তি এমনই। ভবিষ্যতের আলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় নিজেই পরপারে চলে গেলেন ম্যাডাম মাহরীন চৌধুরী।’
এই সংগীতশিল্পীর কথায়, ‘নিয়তির নিষ্ঠুরতাকে ব্যতিক্রম প্রমাণ করে মা, বাবা, শিক্ষক—এই তিনে কোনো পার্থক্য রাখতে দেননি দ্য সিক্রেট সুপারস্টার ম্যাম মাহরীন। বিনম্র শ্রদ্ধা, শোক পরিণত হোক শক্তিতে। আকস্মিক ঝড়ে ঝরে যাওয়া সব ফুল প্রস্ফুটিত হোক জান্নাতের বাগানে, আমিন।’
প্রসঙ্গত, ২১শে জুলাই বেলা ১টার পর ঢাকার উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয়, সেখানে বহু স্কুলশিক্ষার্থী ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহরীনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তার স্বামী মনসুর হেলাল। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি মাহরীনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না! সে বলেছিল, ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন