ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, আমেরিকার সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে প্রস্তুত। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হলো। যদি আমেরিকান সাম্রাজ্য ভেনেজুয়েলায় সামরিক আক্রমণ চালায়, তবে আমাদের জনগণ, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে।’ খবর এনবিসি নিউজের।
এর আগে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বিদেশি কূটনীতিকদের জানান, মাদুরো ইতিমধ্যে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন, যা তাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করছে। এর মাধ্যমে দেশের পুরো সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট এবং সামরিক বাহিনীকে জনসেবা খাত ও তেলশিল্প নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও দেওয়া হবে। ডিক্রির মেয়াদ হবে ৯০ দিন, প্রয়োজনে আরও ৯০ দিন বাড়ানো যাবে।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে আমেরিকার সর্ববৃহৎ নৌ বহর মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮টি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার ক্যারিবীয় সাগরে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া পুয়ের্তো রিকোতেও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও আমেরিকা বলছে, এই অভিযান মাদক পাচার ঠেকানোর জন্য। তবে জাতিসংঘ ও আমেরিকার তথ্য বলছে, ভেনেজুয়েলা আমেরিকায় কোকেন সরবরাহের বড় উৎস নয়।
আমেরিকান বাহিনী সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় অন্তত তিনটি ছোট নৌকা বোমা হামলায় ধ্বংস করেছে। তারা দাবি করেছে, এগুলো মাদক পরিবহনে জড়িত ছিল। এসব হামলায় অন্তত ১৭ ভেনেজুয়েলান নিহত হয়েছেন। এর জবাবে কারাকাস বলছে, আমেরিকা দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে।
আমেরিকার গণমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার মূল ভূখণ্ডেও বিমান হামলার পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন। কথিত মাদক চক্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে এই হামলা চালানো হতে পারে। তবে মাদুরো আমেরিকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার দেশ শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। তিনি আরও দাবি করেন, নৌকা ধ্বংস করতে চালানো হামলা আসলে আদালতের বাইরে হত্যার শামিল।
খবরটি শেয়ার করুন