ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিএনপি আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার (১৩ই জুন) লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা এ বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এ বৈঠক থেকে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভিন্নতা দূর হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। তাই সবার নজর এখন শুক্রবারের ওই বৈঠকের দিকে।
বিএনপি আশা করছে, বৈঠকটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার (১০ই জুন) এমন আশাবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থানে এ বৈঠক একটি বড় ঘটনা। এটি একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
সংকট নিরসনে আশা জাগানো ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকটি হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য ডরচেস্টার হোটেলে। শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকে জরুরি সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কিছু দল রাষ্ট্র সংস্কার ও জুলাই হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে।
নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের ব্যাপ্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য প্রকাশ্য এবং নেপথ্যের নানামুখী তৎপরতায় দূর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন