শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** অন্যের ওপর দোষ চাপানো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অভ্যাস’: ভারত *** পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের *** মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান *** ফ্লোটিলা বহর আটকের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** ভারতের ধনী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫০১৭০ কোটি নিয়ে শীর্ষে জয়শ্রী, ষষ্ঠ বলিউড নায়িকা *** ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ট্রাইওন্ডা আসলে কী *** যেভাবে আসামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজিত সমাজে ঐক্যের সুর হয়ে উঠলেন জুবিন গার্গ *** ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল *** মাথা ঠান্ডা করে আরামে ঘুমান, নিজেদের সমস্যায় মন দিন—পশ্চিমা নেতাদের পুতিন *** বাড়লে গরম, বাড়ে চিনি খাওয়াও—বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা

রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের জন্মদিন আজ

সাহিত্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৯ অপরাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মদিন আজ। কবি ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বামনকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। মা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন গৃহিণী। তবে সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনিও কবিতা রচনা করতেন। মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা রচনার প্রেরণা লাভ করেন জীবনানন্দ।

বাংলার প্রকৃতির অধরা রূপের নিপুণ বর্ণনা জীবনানন্দ দাশের কাব্যে খুঁজে পাওয়া যায়। জীবনানন্দ তার কবিতায় প্রকৃতির যে বর্ণনা করে গেছেন তা যে কারোর মনেই ভিন্ন দ্যোতনার সৃষ্টি করে। চারপাশের খুব সাধারণ দৃশ্যপটও তার লেখায় ছিল অসাধারণ। যার কবিতায় রয়েছে শুধুই মুগ্ধতা।    

কবির পড়াশোনা ম্যাট্রিক ও আইএ বরিশালে। অনার্সসহ বিএ ও এমএ কলকাতায়। ১৯২২ সালে কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে চাকরিজীবন শুরু। বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে শিক্ষকতা করেন। দিল্লির রামযশ কলেজেও শিক্ষকতা করেন। ১৯৩০ সালে আবার দেশে ফেরেন। ১৯৩৫ সালে বরিশালের বিএম কলেজে যোগদান করেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের কিছু আগে তিনি সপরিবারে কলকাতা চলে যান।

স্কুলজীবনেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কাব্য ‘ঝরাপালক’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। বিখ্যাত কাব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে : ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬), ‘মহাপৃথিবী’ (১৯৪৪), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮), ‘রুপসী বাংলা’ (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭) ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ (১৯৬১)।

উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : ‘মাল্যবান’ (প্রকাশকাল ১৯৭৩), ‘সুতীর্থ’ (প্রকাশকাল ১৯৭৭), ‘জলপাইহাটি’ (১৯৮৫), ‘জীবনপ্রণালী’, ‘বাসমতীর উপ্যাখ্যান’ ইত্যাদি। তার গল্পের সংখ্যাও প্রায় দুই শতাধিক। ‘কবিতার কথা’ (১৯৫৫) নামে একটি মননশীল ও নন্দনভাবনামূলক প্রবন্ধগ্রন্থও আছে তার।

আরও পড়ুন: রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ

কবি ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-- এই বাংলায়/হয়তো মানুষ নয়-- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,/ হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে / কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়; / হয়তো বা হাঁস হ`ব-কিশোরীর-ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, / সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; / আবার আসিব আমি বাংলায় নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে।’ (আবার আসিব ফিরে/রুপসী বাংলা)।

জীবনানন্দ দাশ সশরীরে না এলেও কবিতার মধ্যদিয়ে তিনি আমাদের মাঝে এই বাংলায় ফিরে আসেন বারবার।

এসকে/ আই. কে. জে/  

জন্মদিন জীবনানন্দ দাশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250