ছবি: সংগৃহীত
সজনে ডাঁটায় আছে ফাইবার, প্রোটিন এবং অনেক খনিজ উপাদান। সজনে ডাঁটা পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। গরমে সজনে খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, হাড় শক্ত থাকে এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এ সবজি ভীষণ উপকারী। ১০০ গ্রাম সজনে ডাঁটায় ৬৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৮.২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম ডায়াটেরি ফাইবার, ১.৪০ গ্রাম ফ্যাট, ৯.৪০ গ্রাম প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম আছে।
সজনে ডাঁটা খাওয়ার উপকারিতা
সজনে ডাঁটায় ভরপুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস আছে। এই খনিজ উপাদান শিশুদের মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে। এ সবজি হাড়ের ঘনত্ব পুনরুদ্ধার করে এবং অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণগুলো কমিয়ে দেয়। এজন্য চিকিৎসকেরা বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিনের খাবারে সজনে ডাঁটা রাখার পরামর্শ দেন।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে সজনে ডাঁটায়। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, ফ্লুর জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধের লড়াই করে। সজনে ডাঁটার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হাঁপানি, কাশি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে নায়াজিমিনিন ও আইসোথিয়োকায়ান্টের মতো বায়ো–অ্যাক্টিভ যৌগ। এই যৌগ দুটি ধমনিগুলোকে প্রসারিত করে উচ্চ রক্তচাপ বিকাশের সম্ভাবনা হ্রাসে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
সজনে ডাঁটায় নায়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন এবং ভিটামিন বি১২-এর মতো শক্তিশালী ভিটামিন বি রয়েছে। এই উপাদানগুলো পরিপাকতন্ত্র থেকে পাচকরস নিঃসরণ করে পরিপাকক্রিয়াকে সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ডায়াটেরি ফাইবার, যা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়মিত করে এর স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
আরও পড়ুন: মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে মাছ চাষ করে লাভবান চাষি
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে ডাঁটা খেলে কিডনি ও মূত্রাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে। সজনে ডাঁটায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
সজনে ডাঁটায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেটের মতো খনিজ উপাদান। এসব উপাদান গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যা কম দেখা দেয়। এটি তাঁদের শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। এমনকি নবজাতকের মারাত্মক জন্মগত ত্রুটি থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে।
এছাড়া চোখের সমস্যা কমিয়ে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসে এবং যকৃতের সুস্থতায় সজনে ডাঁটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
এসি/কেবি
