প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)
মাত্র দুই মাস আগে লঞ্চ হয়েছে আইফোন ১৬। নিজেদের প্রাইভেসি স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়ে সব সময় আলোচনা করে অ্যাপল। সেই সঙ্গে তা কীভাবে আইফোন ব্যবহারকারীদের রক্ষা করে, সেই বিষয় নিয়েও কথা বলে তারা। কিন্তু নতুন একটি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে যে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের তুলনায় আইওএস-কে সহজেই নিশানা বানিয়ে ফেলছে হ্যাকাররা। যার জেরে নিজেদের ডেটা বা তথ্য নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন লাখ লাখ ব্যবহারকারী।
লকআউট-এর সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, আইফোনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় বিক্রি হয় অ্যান্ড্রয়েড। ফলে হ্যাকাররা খুব সহজেই আইফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। ফলে উদ্বেগে অ্যাপল ব্যবহারকারীরা।
আরো পড়ুন : আবারো হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার!
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, আইওএস ডিভাইস এন্টারপ্রাইস সেগমেন্টের পছন্দের তালিকায় থাকে। ফলে তা ফিশিং অ্যাটাকের নিশানায় থাকছে। এমনকি কিউ৩ ২০২৪ রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, ১৮.৪ শতাংশ কিউ৩ ২০২৪-কে টার্গেট করা হচ্ছে, যেখানে মাত্র ১১.৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হ্যাকারদের নিশানার মুখে থাকে।
তাই ব্যবহারকারীদের সতর্ক করছে অ্যাপল। পাসওয়ার্ড, ইউজারনেমের মতো ডাটা প্রবল ঝুঁকির মুখে থাকে। তাই ব্যবহারকারীদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকা আবশ্যক। নিজেদের অফিসিয়াল ডিভাইসে কীসে ক্লিক করা হচ্ছে, বা কোন লিঙ্ক ওপেন করা হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
ফিশিং অ্যাটাক বর্তমানে খুবই সাধারণ এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকারদের প্রতারণার অন্যতম ফাঁদ এটি। সতর্ক থাকুন। যে কেউ অপিরিচিত নম্বর থেকে ই-মেইল পেতে পারেন। যেখানে আকর্ষণীয় অফার অথবা ডিল আসতে পারে। আর সেই ডিলের প্রলোভনে পা দিলেই বিপদ। কারণ অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করলেই হ্যাকাররা ডিভাইস এবং ডাটার অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। আর ঘুণাক্ষরেও বিপদের বিষয়ে টের পান না ব্যবহারকারীরা।
সূত্র: ম্যাশাবল, দ্য ইকোনোমিক টাইমস
এস/কেবি