ছবি: সংগৃহীত
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে সৌহার্দ ও সম্প্রীতির সংযোগ বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমরা এক হয়ে কাজ করবো।
শুক্রবার (২২শে নভেম্বর) রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, আমরা আমাদের আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা সকল ভালো কাজের জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ধর্মীয় বিধান মতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। কোনো ভালো কাজের এপ্রিশিয়েশন করা, ভগবান বা দেবতাকে রাজি বা খুশি করার জন্য যে উৎসর্গ ও পূজা করা হয়, তার একটি অংশ হলো গারোদের এই ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব। সকালে দেবতার উদ্দেশে ফসল উৎসর্গের মাধ্যমে ওয়ানগালা উৎসব শুরু হয়। এসময় শস্যদেবতা বা মিশি সালজং-এর পূজা করেন পুরোহিত জনসন ম্রিং। গারো সম্প্রদায় শরতের শেষে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফসল কাটার সময় নবান্ন উৎসব ওয়ানগালা উদযাপন করে থাকে। এবারের এ উৎসবের আরাধনা হলো সকল ব্যাধি কাটিয়ে যেন আগামী বছর অধিক ফসল উৎপাদন হয় এবং সকলের মঙ্গল ও শান্তি বহমান থাকে।
আরও পড়ুন: রোববার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
অনুষ্ঠানে গারো শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ‘জুম নৃত্য’, স্ল্যাস-এন্ড-বার্ন ডান্স পরিবেশন করে। ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষে বনানী কলেজ মাঠে ওয়ানগালা উদযাপন কমিটি গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত খাবার, হস্তশিল্প এবং পোশাক ও রকমারি তৈজসপত্র বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্টল স্থাপন করে।
গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর রিছিল-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, নকমা (হেডম্যান) জনন্ত চিসিম, ঢাকা মেট্রোপলিটান ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান অগাস্টিন পিউরিফিকেশন, টেট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নকমা অন্ত ঘাগরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।