ছবি: সংগৃহীত
জোহরান মামদানি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলো ছড়ানোর অনেক আগে ছিলেন একজন র্যাপার। দিনে তিনি কাজ করতেন ঋণগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের জন্য, আর অবসরে করতেন গান। তার মঞ্চনাম ছিল ‘ইয়াং কার্ডামম’, পরে ‘মি. কার্ডামম’ নামে পরিচিত হন। খবর ইউএসএ টুডের।
২০১৯ সালে জোহরানের একটি গান ‘নানি’ নতুন করে ভাইরাল হয়। এ গান তিনি বানিয়েছিলেন তার দাদি প্রবীণ নায়ারকে উৎসর্গ করে। গানের ভিডিওতে দাদির চরিত্রে ছিলেন বিখ্যাত রাঁধুনি ও অভিনেত্রী মাধুর জাফরি। এ ভিডিও ইউটিউবে দেখা হয় প্রায় দুই লাখ বার, আর গানটি স্পটিফাইয়ে শোনা হয় ৪৩ হাজারের বেশি বার।
২০১৫ সালে জোহরানের বন্ধু র্যাপার এইচএবির সঙ্গে বের করেন গান ‘কান্ডা (চ্যাপ চ্যাপ)’। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে তারা একটি ইপি প্রকাশ করেন সিদ্দা মুক্যালো, যার অর্থ ‘আর গ্রামে ফেরা যাবে না’। এক সাক্ষাৎকারে জোহরান বলেন, ‘আমি একজন এশীয়-উগান্ডান। আমার কোনো গ্রাম নেই, শহরই আমার সব।’
এ ইপিতে জোহরানরা ছয়টি ভাষায় গান করেন। ‘আসকারি’ নামের একটি গানে তারা তুলে ধরেন বর্ণবাদবিষয়ক অভিজ্ঞতা, যেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা শ্বেতাঙ্গদের দ্রুত প্রবেশ করতে দেয়, কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ বা অন্য বর্ণের মানুষ হলে দেরি করে।
২০১৬ সালে জোহরান ডিজনির চলচ্চিত্র ‘কুইন অব কাটউই’-এর সাউন্ডট্র্যাকের জন্য তৈরি করেন নাম্বার ওয়ান স্পাইস। এ গানে তিনি ও এইচএবি র্যাপ করেন, ভিডিওতে তাদের সঙ্গে ছিলেন লুপিটা নিয়ংগো। মজার ছলে জোহরান বলেন, ‘নেপোটিজম আর কঠোর পরিশ্রম—দুটোই কাজে লাগে।’
তবে সব মিলিয়ে জোহরান মামদানি ছিলেন একজন সংগঠক, র্যাপার, চিন্তাশীল তরুণ, যিনি একাধারে সংস্কৃতি, প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পারিবারিক পটভূমি, সামাজিক অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীল সাহসিকতা তাকে তৈরি করেছে নিউইয়র্ক নগরের মঞ্চে এক ব্যতিক্রমী প্রার্থী হিসেবে। র্যাপ গান থেকে বিতর্কমঞ্চ—সব জায়গাতেই তার কণ্ঠ স্পষ্ট ও দৃঢ়। তাই অনেকেই বলছেন, নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়রের কণ্ঠটা এ সময়ের মতোই—প্রগতিশীল, সাহসী ও নতুন।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন