শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মালিক-ডি ভিলিয়ার্সদের ফাইনাল আজ, খেলা দেখবেন কোথায় *** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ

মেসির নাম বলে হামাসের জিম্মি হওয়া থেকে বাঁচলেন বৃদ্ধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৩ অপরাহ্ন, ৮ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্রধারী কোনো ডাকাত দলের মুখোমুখি হলে মানুষ বাঁচার জন্য অনেক ধরণের আকুতি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসব আকুতিতে কাজ হয় না। কিন্তু আপনি এমন একজনের নাম বললেন, তা শুনে অপহরণ তো দূরের কথা, আপনার অনেক যত্ন নেয় তারা। এমনকি যাওয়ার সময় স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য আপনার ছবিও তুলে তারা। 

ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের কিজবুত নির ওজে ভাগ্যবান এস্তার কুনিও নামের ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধার সঙ্গে এমনটি ঘটেছিলো। 

অস্ত্রের মুখে আর্জেন্টাইন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসির নাম বলে হামাসের অস্ত্রধারী অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, মেসির দেশের মানুষ পরিচয় দেওয়ায় পর ডাকাতদল সেলফিও তুলেছেন এস্তারের সঙ্গে! 

ঘটনাটি গত বছরের ৭ই অক্টোবর সকালের। প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চলাকালে ইসরায়েলের কিজবুত নির ওজে ভয়ংকর অপহরণের মুখে পড়েছিল এস্তারের পরিবার। হামাসের কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী অস্ত্রের মুখে এস্তারসহ তার পরিবারের ৮ সদস্যকে গাজায় অপহরণ করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সেখানে নিজের আর্জেন্টাইন পরিচয় বোঝাতে মেসির নাম উচ্চারণ করেন এস্তার, তাতেই বেঁচে যান তিনি। তবে হামাসের সৈন্যরা ধরে নিয়ে যায় তার নাতি-নাতনিদের।

সংবাদমাধ্যম ফুয়েন্তে লাতিনোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনায় এস্তার কুনিও বলেছেন, তাকে (অস্ত্রধারী) বলেছিলাম, আমি আর্জেন্টাইন ও স্প্যানিশে কথা বলতে পারি। আমি তার ভাষা বুঝতে পারিনি। সে আরবিতে কথা বলছিল এবং আমি হিব্রুতে একেবারেই কাঁচা। যখন বললাম, আমি আর্জেন্টাইন স্প্যানিশে কথা বলি, তখন সে জিজ্ঞেস করল, আর্জেন্টিনা কী।

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে শুরু হবে পুনরায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা: হামাস

এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই বেঁচে যান এস্তার, তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি ফুটবল খেলা দেখো? সে বলল, সে ফুটবল পছন্দ করে। এরপর আমি তাকে বললাম, আমি মেসির দেশের মানুষ। তখন সে অবাক হয়ে যায় এবং আমাকে বলে, সে মেসিকে ভালোবাসে। এরপর সে তার হাত আমার কাঁধে রাখে, আমাকে তার বন্দুক দেয়। এরপর শান্তির সাইন (ভি) দেখিয়ে আমার সঙ্গে ছবি তোলে।

মেসির নাম বলে এস্তার রক্ষা পেলেও তার নাতি-নাতনিদের অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাদের ফিরে পেতে মেসির হস্তক্ষেপ আশা করছেন এস্তার, যদি তিনি (মেসি) জানেন যে, আমি তার নাম বলে রক্ষা পেয়েছি, এখন আমি ওখানে (গাজায়) আটকে থাকা আমার নাতি-নাতনিদের রক্ষার জন্য একই কথা বলব। আমি তাকে বলব, দয়া করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ তারা আমার কাছে সোনার মতো মূল্যবান।

সূত্র: গোল ডটকম

এসকে/ 

লিওনেল মেসি হামাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন