ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সারা দেশের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইনে বিদ্যমান ‘জটিলতা দূর’ করে সংশোধনী আনতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য সরকারকে প্রস্তাব পাঠাবে ইসি। তবে ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করতে সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে।
এ ছাড়া ভোটার তালিকা আইন, আন্তর্জাতিক ও দেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা ও নির্বাচনের সময় সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা আরও পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য এগুলো ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০শে জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এটি ছিল বর্তমান কমিশনের তৃতীয় সভা। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১১টি আলোচ্যসূচি নিয়ে সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করে ইসি। এদিন ‘কয়েকটি’ কমিটিও গঠন করে ইসি।
সীমানা নির্ধারণ আইনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে দুটি বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে। মূলত জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ইসি ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান, সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদন ইত্যাদির ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনসাধারণের শহরমুখী প্রবণতা রয়েছে। শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে করলে শহরের দিকে আসনসংখ্যা বাড়বে, অন্য এলাকায় কমে যাবে। এতে সঠিক প্রতিনিধিত্ব হবে না বলে কমিশন মনে করে।’
এখন পর্যন্ত ৪১টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ২৪৮টি আবেদন পাওয়ার কথা জানিয়ে আবুল ফজল বলেন, ‘এসব নিষ্পত্তিতে সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে, তার অপেক্ষায় আছে ইসি। এ বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে। তাই ইসিকে অপেক্ষা করতে হবে।’
এ ছাড়া সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়টি আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনটি বিকল্প নিয়ে ভাবছে ইসি। সেগুলো হলো পোস্টাল ব্যালট, প্রক্সি ভোটিং এবং অনলাইন ভোটিং।
হা.শা./কেবি