মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ *** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ *** মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ে এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়—বললেন রাষ্ট্রদূত *** মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল *** রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার *** আড়াই লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া *** হিন্দুপল্লির ২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক *** মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো *** ভোগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে স্বর্ণকেশী মডেল কেন বিতর্ক ছড়াচ্ছে *** কিডনি ভালো রাখতে যে ৩টি খাবার খাবেন

‘মা-বাবা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৬ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের মেয়ে তানজিম মুনতাকা সর্বা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। অন্য সকল অভিভাবকের মতো তানজিম মুনতাকার বাবা-মাও ভীষণ খুঁশি তাদের সন্তানের সাফল্যে। 

দেশসেরা শিক্ষার্থীর মা চায়না বেগম বলেন, নিজেদের মা-বাবা হিসেবে সফল মনে হচ্ছে। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। আল্লাহর রহমতে আমাদের পরিশ্রম আপনাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন। 

তিনি বলেন, রোববার (১১ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। এরপর থেকেই আত্মীয় স্বজনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ যেন এক পরম পাওয়া। আমার মেয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে এটাই আমাদের বড় সফলতা। 

সারাদেশের মধ্যে মেডিকেলে প্রথম হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তানজিম মুনতাকা সর্বা বলেন, প্রথমেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমার মা-বাবা ও শিক্ষকদের পরিশ্রম ও দোয়ায় আজকে এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। আমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আমি প্রথম ডাক্তার হতে যাচ্ছি। আমার ছোট থেকেই ডাক্তার হতে চাওয়ার একটি বড় স্বপ্ন ছিল।

এছাড়া আমার শিক্ষকরা সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ডাক্তার হওয়ার জন্য। তাদের পরামর্শেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত জীবনে মা-বাবা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। সব বিষয়েই আমি তাদের সাপোর্ট পেয়েছি। মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতির সময় যখন হতাশায় থাকতাম, তখন বাবা-মা এমনভাবে আত্মবিশ্বাস দিতেন যে সব ঠিক হয়ে যেত। তাই বলতে পারি আম্মু-আব্বুর সহযোগিতাই আমাকে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম তানজিম মুনতাকা

তানজিমের বাবা আব্দুর রহমান (সবুজ) বলেন, আমি একটি কোম্পানির অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। পরিবার নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করি। সর্বা ঢাকায় বড় হয়েছে। আমাদের মেয়ের এমন সাফল্যে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন একজন মানবিক ডাক্তার হতে পারেন।

তানজিম মুনতাকা সর্বার চাচা কটিয়াদী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন বলেন, এই সংবাদটি শোনার পর থেকেই আমার মধ্যে অন্যরকম এক শান্তি অনুভব হচ্ছে। আমার ভাতিজি তানজিম সর্বা ঢাকায় বড় হয়েছে। তার এই সাফল্যের সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেইে এলাকায় খুশির বন্যা বইছে। সে কটিয়াদী ও কিশোরগঞ্জের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সে আমাদের গর্ব।

দেশসেরা তানজিম মুনতাকা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বেথইর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান (সবুজ) ও গৃহিনী চায়না বেগমের বড় কন্যা। ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তানজিমের এমন সাফল্যে পরিবার ও এলাকার স্বজনদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়  তানজিম মুনতাকা সর্বা পেয়েছেন সর্বোচ্চ নম্বর। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯২ দশমিক ৫ নম্বর। তানজিম মুনতাকা ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। 

এইচআ/ আই.কে.জে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা তানজিম মুনতাকা সর্বা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন