ছবি: সংগৃহীত
নানা শঙ্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আজ মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কার্যক্রম শেষ করতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে দেখা যায়, প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবার আইডি কার্ড যাচাই করে এবং অনুমোদিত ব্যক্তি বা যানবাহনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তার জন্য টিএসসি এলাকায় পুলিশের একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২ হাজার ৯৬ জন পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি চেকপোস্ট চালু আছে, কেন্দ্র কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, মোবাইল পেট্রোল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি, সিসিটিভি মনিটরিং সেল, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে। র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল (৮ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত এক সপ্তাহ ধরে নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আশা করছি, বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না। নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন। আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন