ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই প্রতিদিন তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য, কাছাকাছি স্থান খুঁজে বের করার জন্য এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে গুগল ম্যাপস ব্যবহার করেন। তবে আপনি জানেন কি, গুগল ম্যাপসের ১৪টি চমকপ্রদ ফিচার রয়েছে? যা গুগল ম্যাপস ব্যবহারকারীদের জন্য উপকারী এবং মজাদার ।
১. ইনডোর ম্যাপস : গুগল ম্যাপস আপনাকে বড় শপিংমল, বিমানবন্দর, হাসপাতাল, স্টেডিয়ামের মতো ইনডোর স্থানগুলোর মানচিত্রও দেখাতে পারে। আপনি যেকোনো বড় বিল্ডিংয়ের ভিতরে কোথায় কী আছে, তা দেখতে পারেন।
২. অফলাইন ম্যাপস : আপনি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আপনার প্রয়োজনীয় এলাকা আগে থেকেই ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। এতে আপনি ইন্টারনেট ছাড়াই পথনির্দেশনা পেতে পারেন।
৩. ট্র্যাফিক আপডেট : গুগল ম্যাপস রিয়েল টাইম ট্র্যাফিক আপডেট প্রদান করে, যা আপনাকে জানাতে সাহায্য করে কোথায় ট্র্যাফিক জ্যাম রয়েছে এবং কোন পথে আপনি দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন।
৪. স্ট্রিট ভিউ : স্ট্রিট ভিউ ব্যবহার করে আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার রাস্তা, বিল্ডিং এবং পরিবেশ সরাসরি দেখতে পারেন, যা বিশেষ করে ভ্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৫. পথের খরচ : আপনাকে পথের খরচ দেখায়, বিশেষ করে আপনি যদি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন। এতে আপনি সঠিকভাবে বাজেট পরিকল্পনা করতে পারবেন।
৬. স্মার্ট রুট সিলেকশন : গুগল ম্যাপস আপনাকে একাধিক রুটের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম এবং কম ট্র্যাফিকপূর্ণ পথ নির্বাচন করতে সাহায্য করে।
৭. লাইভ শেয়ার : রিয়েল টাইম অবস্থান বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, যাতে তারা আপনার চলাচল ট্র্যাক করতে পারে এবং আপনাকে সহজে খুঁজে পেতে পারে।
আরো পড়ুন : নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনছে হুন্দাই
৮. ভয়েস নেভিগেশন : গুগল ম্যাপস আপনাকে সরাসরি ভয়েস নেভিগেশন দিয়ে পথনির্দেশনা দেয়।
৯. সাইক্লিং রুটস : গুগল ম্যাপসে সাইক্লিস্টদের জন্য বিশেষভাবে সাইক্লিং রুটস প্রদর্শিত হয়, যাতে সাইকেল চালকদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক পথ সহজে পাওয়া যায়।
১০. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রুট : বিভিন্ন পাবলিক ট্রান্সপোর্টের রুট এবং সময়সূচি দেখায়, যা শহরের মধ্যে ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলে।
১১. এলাকা অনুসন্ধান : আপনি আশপাশের রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেল, দোকান ইত্যাদি খুঁজে বের করতে পারেন। এটি বিশেষ করে ভ্রমণকারী এবং স্থানীয়দের জন্য খুবই কার্যকরী।
১২. রিয়েল-টাইম টিকিটিং : কিছু শহরে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের টিকিট কেনার সুযোগও দেয়, যাতে আপনি সহজেই যাত্রা শুরু করতে পারেন।
১৩. জিপিএস অ্যাকিউরেসি : গুগল ম্যাপস আপনাকে খুব সঠিক এবং নির্ভুল গন্তব্য নির্দেশনা প্রদান করে, যা একাধিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, যেমন Wi-Fi, ব্লুটুথ, এবং GPS সিগন্যাল।
১৪. প্রত্যাশিত পৌঁছানোর সময় : আপনাকে জানিয়ে দেয় যে আপনি কতটা সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন, যা ট্র্যাফিক এবং অন্যান্য ভিন্ন ফ্যাক্টর অনুযায়ী আপডেট হয়।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন