মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশ সীমান্তের কোল ঘেঁষে নাফ নদীর মোহনা থেকে সরে যাওয়ার পরেও কেন সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক অপতথ্যের প্রাদুর্ভাব দূরীভূত হচ্ছে না? এই মুহূর্তে নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমার অংশে বাংলাদেশের জল সীমানা ঘেঁষে অবস্থান নেয়া যুদ্ধ জাহাজগুলোকে আর দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু গত কয়েকদিনের গুলি-গোলার আওয়াজ, বাংলাদেশের নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমারের দিক থেকে চালানো গুলি, এর পরিপ্রেক্ষিতে সেন্ট মার্টিনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সমস্যা ও শঙ্কা প্রভৃতি এখনও পুরোপুরি দূরীভূত হয় নাই।
তবে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের দিক থেকে যেকোনও পক্ষের আক্রমণ প্রতিহত তথা এর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশের জনমনে সেন্ট মার্টিনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া চাপা উত্তেজনা কিয়দংশ হ্রাস পেলেও কিছু মাত্রায় তা এখনো আছে। আর জনমনের এই পরিস্থিতির ভিত্তিতে কোনও কোনও মহল থেকে “অপতথ্য” ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন নিয়ে তাই অপতথ্যের ছড়াছড়ি বিদ্যমান আছে। অপতথ্য-এর ইংরেজি হচ্ছে ডিজইনফরমেশন। এটি কোনও কোনও সময় ফেক নিউজ অর্থাৎ মিথ্যা খবর বা ভুয়া খবর হিসেবেও গণ্য করা হয়। সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক সাম্প্রতিক “অপতথ্যসমূহ” বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল কর্তৃক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
জনৈক আশিকুল ইসলাম আশিক থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কোনো কোনো ইউটিউবার, টিভি টকশো এবং রাজনৈতিক দল বিএনপি সবাই হঠাৎ করে সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক কথকতায় মেতে উঠেছে। এইসব আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যেসব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ উপস্থাপিত হচ্ছে সেসবের অনেকটা জুড়ে থাকছে “অপতথ্যের” সমাহার। বলাবাহুল্য, সঠিক তথ্যও কোনো কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আশিকুল ইসলাম আশিক নামের এক ব্যক্তি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছে, “সেন্ট মার্টিনের সকল অধিবাসীকে দ্বীপ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।” একটি ইউটিউব চ্যানেলে টকশো শিরোনাম করেছে “কাঁপছে সেন্ট মার্টিন, আকাশে উড়ছে যুদ্ধ বিমান, নীচে আছে যুদ্ধ জাহাজ”।
বিএনপি মহাসচিব এরই মাঝে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি খুঁজে পেয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেন্টমার্টিনে গোলাগুলির জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন! তবে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নে সৃষ্ট সংকটজনক পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে মোকাবেলার প্রয়োজন। তবে, সে কারণে “লোক সরিয়ে নেয়া”, “সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি” কিংবা বাংলাদেশে অন্য কোনো সামরিক অথবা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয় নাই। তাই এই ইস্যুর জন্য যেসব মহল তাদের স্ব স্ব দাবির ভিত্তি হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে যে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছে সেগুলো প্রকৃত পক্ষে “অপতথ্য”!
গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী একাধিক জাহাজে মিয়ানমারের দিক থেকে গুলি করা এবং বাংলাদেশ সীমান্তের কোল ঘেঁষে নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি এইসব অপতথ্যের প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠেছে। মিয়ানমার সম্পর্কে কোনও কোনও বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ অবশ্য সাম্প্রতিক এই দৃশ্যপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলমালের ইতিহাস এবং বিবর্তন তুলে ধরেছেন। সেসব ব্যাখ্যা দ্বারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন জলপথে নৌ-চলাচল বিঘ্ন ঘটা, মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশের নিকটে চলে আসায় শঙ্কা এবং এসম্পর্কিত গুজব বা অপতথ্যের ব্যাখ্যা নেই বললেই চলে। শুরুতেই তাই অপতথ্যের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা সমীচীন।
যখন কোনও ব্যক্তি ‘ডিসইনফরমেশন’ বা ‘ফেক নিউজ’ দেখে বিশ্বাস করেন এবং এটি শেয়ার করেন, তখনই তা ‘গুজব’-এ পরিণত হয়। বিপুল পরিমাণ মিথ্যাচারিতাই হচ্ছে এখন ‘infodemic’ বা ‘অপতথ্যের মহামারী’। ‘অপ-তথ্য’ হল মিস-ইনফরমেশন ও ডিস-ইনফরমেশনের সমষ্টি। ‘মিস-ইনফরমেশন’ সাধারণত ভুল তথ্যকেই বোঝায়, যা জ্ঞানের বা তথ্য সরবরাহের ত্রুটির কারণে সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ‘ডিস-ইনফরমেশন’ শব্দের অর্থ ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো।
বিগত প্রায় সাড়ে তিন মাস যাবত মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সেদেশের সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। নাফ নদীর পূর্ব তীরে মিয়ানমারের মংডু শহর এবং পশ্চিমে বাংলাদেশের টেকনাফ শহর। আরাকান আর্মি সম্প্রতি মংডুর উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমে দুটি শহরসহ বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্ত ফাঁড়ি, বেশ কয়েকটি থানা এবং রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের পুলিশ ফাঁড়ি দখল করেছে। এখন তারা মংডু শহরের দখলের জন্য লড়াই করছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সার্বভৌমত্ব আদায়ের লক্ষ্যে লড়ছে আরাকান আর্মি।
রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা। এতদিন পর্যন্ত বলিষ্ঠভাবে দেশ শাসন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অঞ্চল জান্তার হাতছাড়া হয়ে বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাচ্ছে এবং অন্যান্য অংশেও তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে দেওয়া বিশেষ বার্তায় আরাকান আর্মি মংডু শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ, তারা সামরিক জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে হামলা করতে যাচ্ছে। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাসিন্দাদের মংডুর সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের উপ-মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং কিয়াও মো বলেছেন, রাখাইনে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। রাখাইনের মংডু শহরে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়েছে। সংঘাতের কারণে তারা শহর ছেড়ে যেতে পারছে না।
মিয়ানমারের এই অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশন পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে নাফ নদীর মিয়ানমার সীমানায় অবস্থান করা মিয়ানমারের দিকে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। একই সাথে আরাকান আর্মিও মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ও বোট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির এই সংঘর্ষের কারণে নাফ নদী ও নদী সংলগ্ন মোহনা এলাকায় বাংলাদেশি বোটের ওপর অনাকাঙ্খিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ১২ জুন ২০২৪ তারিখে প্রতিবাদ জানায়।
নাফ নদীতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ দেখা যাওয়ার পর থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন যাওয়ার রুটে টেকনাফের কাছে নাফ নদীর বাংলাদেশের মধ্যেকার কিছু অংশে চর পড়ার কারণে নাব্যতা হারিয়েছে। এতে, সেই দিক দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারে না। যেতে হয় মিয়ানমারের ৪০ মিটার ভেতরের প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পর্যন্ত মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নৌযানগুলোর যাতায়াত করতে হয়। তবে এই চলাচলে আগে কখনো বাংলাদেশের কোনো নৌযানকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয় নাই।
গত পহেলা জুন ২০২৪ মুদি মালামাল ও যাত্রীবাহী ট্রলারে; ৫ জুন সেন্ট মার্টিনের জিঞ্জিরায় (টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য) একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে ম্যাজিস্ট্রেট শাফকাত আলীসহ মোট ২৭ জন যাত্রীবাহী মেটাল শার্ক ও কাঠের বোটে; ৮ জুন টেকনাফের কাউখালি ঘাট থেকে সিমেন্ট, রড ও ৬ জন যাত্রীবাহী দু’টি কাঠের ট্রলারে, এবং ১১ জুন সেন্ট মার্টিনের শাহপরীরদ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন অভিমুখে বাঙালি যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোটে মিয়ানমারের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেন্ট মার্টিনের অভিমুখে অথবা সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে এইসব ট্রলারে বা জলযানে কারা গুলি ছুঁড়ল? বাংলাদেশের এইসব জলযানে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কি গুলি ছুড়েছে না কি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি ছুড়েছে?
যে পথ দিয়ে সবসময় বাংলাদেশের নৌযান চলাচল করে থাকে, মিয়ানমারের দিক থেকে গুলি তথা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে, তার পশ্চিম পাশ দিয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করে কয়েকটি নৌযান চলাচল করেছে। তবে এই বিকল্প পথে ঝুঁকি আছে। বিকল্প পথে গভীর সমুদ্রের মধ্য দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক।
অপর দিকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর যুদ্ধ চলার কারণে জাহাজগুলো সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসছে। যুদ্ধজাহাজগুলি মিয়ানমারের জলসীমানায় অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংদিয়া অংশে অবস্থান করছিল। ১৪ জুন সন্ধ্যার পর সে স্থান থেকেও সরে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। স্বাভাবিক সময়ে মিয়ানমারের জাহাজগুলো অনেক দূরে থাকে কিন্তু যুদ্ধ চলার কারণে তা নিকটে চলে এসেছিল।
একাধিক সূত্র জানায়, টানা সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিদং-বুচিদং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
সবশেষে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী নাফ নদীর মোহনায় অবস্থানরত মিয়ানমারের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে না। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমা ও তৎসংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা। এর চৌহদ্দি হল- উত্তরে বঙ্গোপসাগর ও টেকনাফ উপদ্বীপ (পেনিনসুলা), দক্ষিণ ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী নাফ নদীর মধ্যরেখা ও টেকনাফ উপদ্বীপ। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্য দিয়ে যেতে হলেও কিছু জায়গা পড়ে মিয়ানমারের খুব কাছাকাছি।
মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ছিল খুবই সাময়িক। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৯ দিন নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজে করে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশের নিকট থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি এখন শান্ত। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের যে কোনও পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নৌযানের দিকে গুলি করলে, বাংলাদেশ পাল্টা গুলি ছোড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন নিয়ে কারণবিহীন উদ্বেগ অপ্রয়োজনীয়। আর যারা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে অপতথ্য তথা গুজব তৈরি করে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন তাদেরও চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
*লেখক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, কলামিস্ট এবং পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (সিএসএএস), ঢাকা।
আই.কে.জে/