ছবি: সংগৃহীত
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে একটি বিষয়ের ওপর প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে। কিন্তু মানুষের আকাঙ্ক্ষা, কষ্ট ও চাহিদার জায়গাগুলো বুঝতে হবে। এসব অনিশ্চয়তার অবসান না হলে সংকট আরও বাড়বে।
নাগরিক সমাজের জায়গা থেকে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সমাধানের জন্য, সমাধানের তাগাদা তৈরির জন্য, যারা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে আছেন, তারা একে অপরকে দেখছেন। কিন্তু জানালার বাইরে তাকানো খুবই প্রয়োজন। জানালার বাইরে অভিব্যক্তিগুলো কী? ইমোশনসগুলো কী? সেগুলো কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ শনিবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রথম আলো কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার পথ’ শিরোনামে এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো।
হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘কমিশন অসম্ভব পরিশ্রম করেছে। কিন্তু আমি একধরনের সীমাবদ্ধতা দেখেছি পুরো আয়োজনের। একটির ওপর তারা ব্যাপক নজর দিয়েছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে।’
রাজনৈতিক দলের মধ্যে নানা মতপার্থক্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বার্থে কমিশন যে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে ধন্যবাদ জানান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন ব্যাপার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন সংযোজন হলো এই যে আমরা একসঙ্গে সমাধানগুলো খুঁজেছি।
হোসেন জিল্লুর বলেন, পিপিআরসির গবেষণা বলছে, দারিদ্র্যের মাত্রাটা আগে থেকেই বাড়ছে। সম্প্রতি বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার পরিসংখ্যানও দেখা গেল। আবার শিক্ষায় ঝরে পড়াও বেড়েছে। এই বাস্তবতা বুঝতে হবে। এগুলো বাড়ছে তার অন্যতম একটা নিয়ামক হচ্ছে অনিশ্চয়তা। অনিশ্চয়তার কারণেই কিন্তু অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং জীবিকায় একধরনের দীর্ঘমেয়াদি খাদ তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়গুলোতে একটা তাগাদা তৈরি করা প্রয়োজন।
খবরটি শেয়ার করুন