সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি *** ইরানে আমেরিকার হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ *** ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: আমেরিকা *** ইরানে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ *** হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস ইরানের পার্লামেন্টে *** সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে পুলিশে সোপর্দ *** অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর *** ইরানে আমেরিকার হামলা কয়েকমাসের ‘গোপন প্রস্তুতির’ ফল: প্রতিরক্ষামন্ত্রী *** আমেরিকার হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান *** রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্ত

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, ১১ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কারো দ্বারা উপকৃত হলে তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা মুমিনের ভূষণ। এটি নবীজি (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। অথবা যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮১১)।

এ কারণে কেউ কোনো উপহার দিলে সামর্থ্য থাকলে তাকেও কিছু উপহার দেওয়া উচিত। কোনো কিছু না থাকলে কমপক্ষে তার প্রশংসা করা উচিত। তার সঙ্গে সদাচরণ করা উচিত। এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয় যে উপকারকারী উপকার করে অপরাধবোধ করতে হয়।

প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কাউকে যখন উপহারস্বরূপ কিছু দেওয়া হয়, তখন সে যদি এর পরিবর্তে দেওয়ার মতো কিছু পায় তাহলে যেন তা দিয়ে দেয়। আর যে এমন কিছু না পারে সে যেন তার প্রশংসা করে। কেননা যে প্রশংসা করল সেও কৃতজ্ঞতা আদায় করল। আর যে লুকিয়ে রাখল সে অস্বীকার করল। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৪)

তাই আমরা কারো দ্বারা উপকৃত হলে কমপক্ষে তার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে পারি। মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করতে পারি। সে দোয়ার ভাষা কী হবে, তাও শিখিয়েছেন রাসুল (সা.)। উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, ‘জাজাকাল্লাহু খইরান’ অর্থ : মহান আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন, তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৫)।

উপকারকারীর জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় দোয়া করাই বেশি ফজিলতপূর্ণ হবে। কারো উপকারের উপযুক্ত প্রতিদান দেওয়ার সাধ্য আমাদের নেই। আমরা কারো জন্য কিছু করতে চাইলেও কি-ই বা করতে পারব? কিন্তু মহান আল্লাহ যদি নিজ হাতে তাকে পুরস্কৃত করেন, তবে সেই পুরস্কার অবশ্যই তার শান অনুযায়ী হবে।

আরো পড়ুন: একজন আদর্শ বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের ৫ নির্দেশনা

তাই আমরা কারো দ্বারা উপকৃত হলে, বিপদ ও সংকটের সময় কাউকে কাছে পেলে তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তার জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় ‘জাজাকাল্লাহ’ বলে দোয়া করতে পারি। এতে করে একদিকে যেমন তার কৃজ্ঞতা আদায় হবে, অন্যদিকে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়বে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর হুকুম মেনে চলার তাওফিক দান করুক।

এম এইচ ডি/ আই.কে.জে.

ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মহানবী (সা.) সুন্নত মুমিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন